Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বালিয়াডাঙ্গীতে নাইস গ্রিন জাতের লাউ চাষে মামা-ভাগ্নের সাফল্য
ডাউনলোড

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে প্রথম বার বাণিজ্যিক ভাবে নাইস গ্রিন নামে হাইব্রীড জাতের লাউ চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন মামা ভাগ্নে। তাঁদের চাষাবাদ করা লাউ স্থানীয় সবজির চাহিদা পুরণ করে পার্শ্ববর্তী জেলা দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ের চাহিদা পুরণ করছে।

 

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের কৃষক মামা ভাগ্নের উৎপাদিত লাউ বাম্পার ফলন হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা লাউ চাষা আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

 

সোমবার বড়বাড়ী ইউনিয়নের তীরনই নদীর তীরে উঁচু জমিতে লাউক্ষেতে গিয়ে দেখা গেছে, মামা এহেসান আলী লাউক্ষেত পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভাগ্নে রিপন আলী এতে সহযোগিতা করছেন।

 

ভাগ্নে রিপন আলী জানান, স্থানীয় কৃষি অফিসের কারিগরি সহযোগিতায় মামা-ভাগ্নে যৌথ উদ্যোগে আড়াই বিঘা জমিতে হাইব্রীড জাতের লাউ চাষ শুরু করেন। গত একমাস ধরে একদিন পরপর ক্ষেত থেকে লাউ কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় বাজারসহ পাশের দুটো জেলায়। বর্ষাকালে বাজারে এ সবজির বেশ চাহিদাও রয়েছে বলে জানান তিনি।

 

মামা এহেসান আলী জানান, আড়াই বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের লাউ চাষে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। গত একমাসে লাউ বিক্রি করেছেন প্রায় ৫৬ হাজার টাকা। আরও একমাস টানা ফল দিবে এ জাতের লাউ গাছ। দ্বিগুন লাভের আশা করছেন তারা।

 

তিনি আরও জানান, প্রথমবার লাউ চাষ করতে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁদের। ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে ফল পঁচে যাওয়া, লাউয়ের সাইজ আকারে ছোট হওয়া। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও পরবর্তীতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এখন ফলন অনেকটা বেড়েছে।

 

মামা-ভাগ্নের সাথে কথা বলে আরও জানা গেছে, গেল এক মাস ধরে লাউ কেটে বাজারে বিক্রি করছেন তাঁরা। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ১৭-২০ টাকা দরে। আর সপ্তাহে ক্ষেত থেকে ২ হাজার লাউ কেটে বিক্রি করা যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।

 

বালিয়াডাঙ্গী উপজলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, একসাথে মিলেমিশে কাজ করলে সফলতা আসবেই। তার প্রমাণ মামা এহেসান আলী ও ভাগ্নে রিপন। নতুন নতুন ফসল উৎপাদনে উপজেলা কৃষি অফিস সর্ব সময় কৃষকদের পাশে আছি। সব ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।